বুধবার ● ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ২৮ ফেব্রুয়ারী থেকে সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি
২৮ ফেব্রুয়ারী থেকে সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি
হাফিজুল ইসলাম লস্কর, সিলেট :: ৫ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। আর এই কর্মবিরতি বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) ভোর ৬টা থেকে শুরু হবে। রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) মহানগরের কোর্ট পয়েন্টে একটি মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে সংগঠনটি। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এ কর্মসূচি থেকে সরে আসেননি সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ। দুপুর ১টার পর্যন্ত এই কর্মসূচি প্রত্যাহারের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম দুপুরে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে বলেন- এখন পর্যন্ত ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে আমরা অটল রয়েছি। আমরা আর ‘মিথ্যা আশ্বাস’ বিশ্বাস করবো না, স্থায়ী সমাধান না হলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
পরিবহন নেতারা বলছেন- সিলেটে বর্তমানে গ্যাসের তীব্র সংকট চলছে। প্রতি মাসের ১৮-২০ দিন পর থেকেই ‘লিমিট’ শেষ হয়ে যায় সিলেটের সিএনজি ফিলিং স্টেশন গুলোর। ফরে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সিএনজিচালিত গাড়িগুলোর চালক। প্রতিদিন বিভিন্ন সিএনজি পাম্পে গ্যাস নেওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে গ্যাস পাচ্ছে না পরিবহন শ্রমিকরা। গত কয়েক বছরে গ্যাসের সংকট সমাধানের লক্ষ্যে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, স্থানীয় মন্ত্রী ও এমপিদের কাছে বার বার ধর্ণা দিয়েও সমাধান মিলছে না। বেশ কয়েক বার আন্দোলনও করা হয়েছে। কিন্তু অবস্থার কোন সন্তোষজনক সমাধান পাওয়া যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে ‘কঠোর’ আন্দোলনে যাচ্ছি।
এছাড়া সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের অভিযোগ- বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ‘মিথ্যা’ মামলায় শ্রমিকদের জড়িয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা। এদুটি প্রধান দাবিসহ ৫ দাবিতে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন সিলেটের পরিবহন শ্রমিকরা।
শ্রমিক নেতারা বলেন, তেল-গ্যাসে ভরপুর সিলেট। আর সেই সিলেটবাসীকেই বঞ্চিত করা হচ্ছে এ সম্পদ থেকে। এটা সিলেট বিদ্বেষমূলক ও গভীর ষড়যন্ত্র। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান ও বিভিন্ন সময় গাড়ি পুড়ানো মামলায় শ্রমিকদের জড়িয়ে হয়রানি করাসহ ৫ দাবিতে বুধবার ভোর থেকে সিলেট জেলায় পরিবহন শ্রমিকরা অনিদিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন শুরু করবেন। প্রয়োজনে পুরো বিভাগ অচল করে দেওয়া হবে।