রবিবার ● ৩ মার্চ ২০২৪
প্রথম পাতা » অপরাধ » নকল সরবরাহের দায়ে অধ্যক্ষের দুই বছরের কারাদণ্ড
নকল সরবরাহের দায়ে অধ্যক্ষের দুই বছরের কারাদণ্ড
বিশেষ প্রতিনিধি :: চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে দাখিলের ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষার হলে স্মার্টফোনের মাধ্যমে নকল সরবরাহ করার দায়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে ১ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আজ ৩ মার্চ রবিবার দুপুরে শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইয়াসির আরাফাত অধ্যক্ষকে এই দন্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ছায়েদুল ইসলাম শাহরাস্তি উপজেলার রাজাপুরা আল আমিন ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার ভদ্রগাছা গ্রামের বাসিন্দা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘আজ শাহরাস্তি চিশতিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে দাখিল ইংরেজি প্রথমপত্রের পরীক্ষা চলাকালে বেলা ১১:৩০ টার দিকে সরকারি গাড়ি পরীক্ষার হলের কিছু দূরে রেখে হেঁটে কেন্দ্রে ঢুকি। এ সময় কেন্দ্রের ভেতরে অবস্থানরত অফিস সহকারী, আয়া ও কিছু শিক্ষক ছোটাছুটি শুরু করেন।
তিনি বলেন, ওই কেন্দ্রে অনিয়ম ও নকলের বিষয়টি আন্দাজ করতে পেরে শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি করি। পরে শ্রেণিকক্ষের বাইরে ও কেন্দ্রের সীমানার মধ্যে অসংখ্য হাতে লিখে সমাধান করা প্রশ্নের উত্তর ও নকল পাওয়া যায়। আমার উপস্থিতি টের পেয়ে শিক্ষকদের ইঙ্গিতে পরীক্ষার্থীরা এসব নকল জানালা দিয়ে শ্রেণিকক্ষের বাইরে ফেলে দিয়েছিল।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, এ বিষয়ে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, অধ্যক্ষ ছায়েদুল ইসলাম পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রিন্টারে ২৫ থেকে ৩০ কপি হাতে লেখা নকলের প্রিন্ট বের করেছেন। পরে তাঁকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি একপর্যায়ে জানান, বাসায় তিনি মোবাইল ফোন রেখে এসেছেন। তাঁর নম্বরে কল দিলে পাশের ব্যাগে মোবাইল ফোনটি বেজে ওঠে। মোবাইল ফোনের লক খুলতে বললে তিনি তৎক্ষণাৎ মোবাইল থেকে কিছু একটা ডিলিট করার চেষ্টা করেন। পরে তাঁর মোবাইল ফোনের হোয়াটসঅ্যাপে হাতে লেখা নকলের হুবহু ছবি পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ছায়েদুল ইসলাম বলেন, তাঁর এক ছাত্র এগুলো সমাধান করে তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছে। পরে তিনি কেন্দ্রের প্রিন্টারে প্রিন্ট করে রুমে রুমে সরবরাহ করেছেন।