বৃহস্পতিবার ● ১৫ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » লকডাউন শিথিল করায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্বেগ
লকডাউন শিথিল করায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্বেগ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ ও জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য সিপিবি সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম, বাসদ এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী কমরেড জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পদক কমরেড মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী)’র ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক কমরেড ফখরুদ্দিন কবীর আতিক, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক কমরেড হামিদুল হক আজ ১৫ জুলাই ২০২১ সংবাদপত্রে দেয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে আজ ১৫ জুলাই থেকে ৮ দিন অর্থাৎ ২২ জুলাই ২০২১ পর্যন্ত লকডাউন প্রত্যাহর করার সরকারি সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে যখন করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে তখন সরকারের নিজের গঠিত করোনা মোকাবেলায় জাতীয় পরামর্শক কমিটির মতামত না নিয়ে লকডাউন প্রত্যাহরের ঘোষণা চরম স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের অপরিকল্পিত ও অদূরদর্শী সিদ্ধান্তে করোনা সংক্রমণ গ্রাম-শহরে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে; জেলা-উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার অপ্রতুলতা মৃত্যুর মিছিলই বাড়াবে। কঠোর লকডাউনেও যখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না তখন লকডাউন তুলে নেয়া চরম আত্মঘাতি এক সিদ্ধান্ত বলে বাম জোট মনে করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় পরামর্শক কমিটি জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামত ছিল কমপক্ষে আরও ২/৩ সপ্তাহ কঠোর লকডাউন বিধিনিষেধ দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, সেখানে বিশেষজ্ঞ মতামত উপেক্ষা করে গৃহীত সিদ্ধান্ত সংক্রমণ ও মৃত্যুকে বাড়িয়ে তুলবে।
বিবৃতিতে লকডাউন প্রত্যাহারের অবিবেচক সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে প্রত্যাহার ও লকডাউন কার্যকর রাখা এবং শ্রমজীবী হতদরিদ্র মানুষকে ১ মাসের খাদ্য ও নগদ ৫০০ টাকা দিয়ে ঘরে রাখা; প্রাপ্ত বয়স্ক সকল নাগরিককে দ্রুত করোনা টিকা প্রদান করা, দৈনিক কমপক্ষে এক লক্ষ করোনা টেস্ট করা; গ্রাম-ইউনিয়ন পর্যন্ত করোনা টেস্টের ব্যবস্থা করা; উপজেলা পর্যায়ে সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরের সহায়তায় ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন, সকল জেলাসমূহের হাসপতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা, হাইফ্লো নেজাল ক্যানুলা, আইসিইউ বেড ও সাধারণ শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি, চিকিৎসক-নার্সসহ পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল নিয়োগ করে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার দাবি জানান।