সোমবার ● ১৮ মার্চ ২০২৪
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » রাজধানীতে গরু মাংস ৬’শ টাকা, আলীকদমে ৯’শ টাকা হয় কি করে? দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনে আছে; বললেন: ইউএনও
রাজধানীতে গরু মাংস ৬’শ টাকা, আলীকদমে ৯’শ টাকা হয় কি করে? দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনে আছে; বললেন: ইউএনও
হাসান মাহমুদ, আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি :: দেশের সর্ব দক্ষিনের জেলা বান্দরবানের আলীকদমে সকল কিছুই চলছে নিয়মের বেড়াজাল ভেঙ্গে। জল থেকে তেল আর শাক থেকে চাল সব কিছুরই দাম এখানে লাগামহীন। প্রশাসনের কোন কর্তাব্যক্তিরা এসব বিষয় নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন কথা বলেনি।
একই ভাবে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সবজী, কলা এবং বিভিন্ন ফল ফলাদি সাধারণ মানুসের ভাগ্যে তেমন একটা ঝুটছেনা। আলীকদম বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুটকি মাছ সর্বনিন্ম ৮’শ টাকা, সামুদ্রিক মাছ সর্বনিন্ম ২’শ ৫০ থেকে ৭’শ টাকা (ইলিশ ব্যতিত), তেলাপিয়া পাঙ্গাস ও কার্ভ জাতীয় মাছ সর্বনিন্ম ২’শ থেকে ৩’শ টাকা, সবজি প্রতি কেজি সর্বনিন্ম ৫০ টাকা (সবজীর মৌসুমে), পেয়াজ বিদেশি ১’শ ৪০ মুড়িকাটা ১’শ টাকা। আর কলাতো আলীকদমে খাওয়া বারন। অথচ প্রতিদিন গড়ে ৮-১০ গাড়ি কলা এবং ১০-১২ গাড়ি সবজী আলীকদম থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে রপ্তানি হচ্ছে।
সাম্প্রতি “রাজধানীতে গরু মাংস ৬’শ টাকা, আলীকদম ৯০০ টাকা হয় কি করে” এমন এক ফেসবুক পোষ্টে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে আলীকদমের সাধারণ জনগণ। পোষ্টের কমেন্ট বক্সে অনেকেই এসবের জন্য জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদেরকে দায়ি করেছেন। নিয়ম ভেঙ্গে প্রতিনিয়ত আলীকদমের যত্রতত্র গরু জবাই হলেও এসব নিয়ে প্রশাসনের নেই কোন মাথা ব্যথা। ভোক্তা অধিদপ্তর দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনে এখনো কোন অভিযান পরিচালনা করেনি আলীকদমে।
যেসব দেশীয় খামারিদের লোকসান হবে বলে সরকার বিদেশ থেকে গরু আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। সেই সব খামারের গরুর মাংসা রাজধানীতে ৬’শ টাকা বিক্রয় হলে আলীকদমে কেন ৯’শ টাকা, এটা অনেকেরই অজানা। রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর দাম নিয়ন্ত্রনে এখনো কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি প্রশাসন।
কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা বললে তারা জানান, দেশে নিরব দুর্ভিক্ষ চলছে। নিত্ত প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। দেশের মুষ্টিমেয় কয়েক শতাংশ লোকজন ছাড়া অধিকাংশ লোকজনের আয় কমেছে। ভালোমন্দা খেতে না পেয়ে পুষ্টি সংকটে পড়ছে নিন্ম আয়ের মানুষরা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতাউল গনি ওসমানী বলেছেন, রমজান শুরুর পর আমরা দুই বার বাজার মনিটরিংয়ে গিয়েছি। “দ্রব্যমূল্য মোটামুটি নিয়ন্ত্রনে আছে”। যে পণ্যের দাম বাড়বে জনসাধারণকে সেই পন্য ক্রয় না করার পরামর্শ দেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খুচরা বিক্রেতারা বেশি দাম দিয়ে কিনে নিয়ে আসে। সেই হিসেবে বাজারে দাম তেমন একটা বেশি রাখছেনা। উপর্যুপরি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন “আমি নিজে চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি, খেজুর কিনেছি আড়াইশ গ্রাম”।