শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » সিলেট নগরীর আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে : সিসিক মেয়র
সিলেট নগরীর আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে : সিসিক মেয়র
সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেটকে স্মার্ট নগরী রুপে গড়ে তুলতে ইতিমধ্যেই পরিচ্ছন্নতা ও ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ করে চমক দেখিয়েছেন। এবার আইনশৃঙ্খলা উন্নতির লক্ষে সিলেট নগরীকে সিসি ক্যামেরার আওতায়। এই কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশের উদ্যোগে কোতোয়ালি মডেল থানায় ১১০টি সিসি ক্যামেরার উদ্বোধন করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
দীর্ঘদিন অচলবস্থায় পড়ে থাকার পর সিলেট সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে সবগুলো ক্যামেরা পুনরায় সচল করা হলো। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নগরীর অপরাধ দমন, অপরাধী শনাক্ত এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)। কোতোয়ালী থানা থেকে চলবে সার্বক্ষণিক মনিটরিং।
সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার মোঃ জাকির হোসেন খান, পিপিএম’র সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন- বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সিলেট নগরীকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসেন। সেটিকে আরো আধুনিকায়ন করে স্মার্ট সিলেট নগরী গড়তে কাজ করে যাাচ্ছি। ‘বাংলাদেশ পুলিশ আগের থেকে অনেক আধুনিক। সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় পুলিশ বাহিনীকে একটি শক্তিশালী বাহিনীতে রূপান্তর করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথ্য-প্রযুক্তির দিকে খুবই স্মার্ট হয়েছে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনেক স্পর্শকাতর ঘটনাও এখন সমাধান করা যায় যা কয়েক বছর আগেও সম্ভব ছিলো না। এই নজরদারী সিস্টেম প্রকল্প সিলেট নগরীকে আরো স্মার্ট নগরীতে পরিণত করবে এবং স্মার্ট সেবা প্রদানে সবার সহজ হবে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ১১০টি ক্যামেরা প্রদান করে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। ২ বছর এ ক্যামেরাগুলো অচল থাকায় পুলিশের নজরদারী কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরে সিলেট মহানগর পুলিশের অনুরোধে দরপত্র আহবান করে সিসিক। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে মেরামত ও নতুন ২০টি প্রতিস্থাপন করা হয়।
সিলেটে পুলিশের অভিযানে ৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক-২
সিলেট :: সিলেট কোতোয়ালি থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেটের মহাজনপট্টিস্থ হিরামন মার্কেটের পূর্ব পার্শ্বে সিরাজ মিয়ার কলোনীর বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত ১-৩৫ মিনিটের সময় অভিযান চালিয়ে দুই মাদক কারবারিকেসহ মাদক ট্যাবলেট ইয়াবা ৫ হাজার পিস জব্দ করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো মো. কাউসার আহমদ (৩২) ও নিজাম উদ্দিন (৪২)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহানগরের মহাজনপট্টিস্থ হিরামন মার্কেটের পূর্ব পার্শ্বে সিরাজ মিয়ার কলোনীর ৬নং কক্ষে অভিযান পরিচালনা করে ৫ হাজার পিস ইয়াবা, নগদ ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা ও দুই মাদক কারবারিকে আটক করে হয়। এছাড়া তাদের ব্যবহার করা ৩টি মোবাইল সেট জব্দ করা হয়।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন কুমার চৌধুরী জানান, আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে সিলেট শহরের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসা করে আসছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
সিলেটে সর্বজনীন পেনশন স্কীমের উদ্বোধন
সিলেট :: সিলেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ, সিলেটে সর্বজনীন পেনশন স্কীম কার্যক্রম’র উদ্বোধন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিআরটি ভবনে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শেখ রাসেল হাসান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, বর্তমান সরকার সকলকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য সরকার এই পেনশন স্কিম চালু করেছেন। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা এই চার ক্যাটাগরিতে যে পেনশন স্কিম রয়েছে স্ব স্ব উদ্যোগে সকলকে রেজিস্ট্রেশন করার আহ্বান জানান তিনি।
টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার বাস্তবায়নে গত ১৭ আগস্ট ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সি সকল বাংলাদেশি নাগরিক অংশ নিতে পারবেন। তবে বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ নাগরিকগণ ও ১০ বছর নিরবচ্ছিন্ন চাঁদা প্রদান করলে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান এর সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার নিশাত আনজুমের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক সুবর্ণা সরকার, সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) বিআরটিএ, মো: রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ. এস. এম কাশেম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( উন্নয়ণ ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) মো: হারুন-অর-রশিদ, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর কাজী শামীম, এছাড়াও বিআরটিএ, সিলেট সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসনের সহায়তায় বিআরটিএতে উদ্ভোধনকৃত এ বুথে সকল সেবা গ্রহীতাগণ অত্যান্ত সহজে রেজিস্ট্রেশন করে পেনশন কার্যক্রম শুরু করতে পারবেন। যার জন্য প্রতি কর্মদিবসে সকলা ৯ টা হতে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত এ সেবা চলমান থাকবে।