বুধবার ● ৩ এপ্রিল ২০২৪
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ঘোড়াঘাটে দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে দখলের পায়তারা
ঘোড়াঘাটে দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে দখলের পায়তারা
ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে দখলের পায়তারা ও দোকান মালিককে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে দোকান মালিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বাদীর বক্তব্য ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাগরপুর গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে ময়নুল ইসলাম ওসমানপুরের এলাকার খতিব উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেনের নিকট থেকে ওসমানপুর বাজার মসজিদ সংলগ্ন দুইটি দোকান ঘরের একটি দোকান ঘর গত ২০১৫ সালের মার্চ মাসের ১৯ তারিখে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল ষ্টাম্পে ভাড়া চুক্তি করে ব্যবসা করে আসতেছে। সে মোতাবেক দোকানের একটি রুম থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে আসছিলেন। এমতাবস্থায় গত মার্চ মাসের ২১ তারিখে ময়নুল ইসলাম অপর আরেকটি দোকানের চাবী চায়। এর কারণ জানতে চাইলে ময়নুল ইসলাম ভাড়া প্রদানকৃত দোকান ঘরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আলাদা ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিবেন বলে জানায়। এতে দোকান মালিক রাজী না হওয়ায় ময়নুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে মারপিটের হুমকি সহ দোকান ঘরের মালিক হওয়ার সাধ মিটিয়ে দিবে বলে প্রকাশ করে চলে যান। এরপর গত মার্চ মাসের ২৬ তারিখে সকাল আনুমানিক ৯ টার দিকে দোকান মালিক দেখতে পায় তাহার দোকানে চলন্ত বিদ্যুৎ লাইনের তার কেটে দিয়ে দোকানের রডের উপর ফেলে রেখে আলাদা ভাবে সংযোগ নেয়।
এ বিষয়ে দোকান মালিক আনোয়ার হোসেন জানান, আমার দোকান ঘর নিজ আয়ত্বে নেওয়ার চক্রান্তে বিবাদী ময়নুল ইসলাম আমার জান মালের ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে আমার দোকানে আলাদা ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছে। আমি আমার জান মাল নিয়ে অনেকটা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগতেছি। এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। অপরদিকে অভিযুক্ত ময়নুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বাদীর অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমি পূর্বের মালিকের নিকট থেকে ভাড়া নিয়ে ব্যবসা আসতেছি। সে অনুসারে পূর্বের মালিকের নামে মিটার থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া ছিল। এছাড়া আমি দীর্ঘদিন থেকে ফিরোজ নামের একজনের থেকে ভাড়া নিয়েছি। অভিযোগের বাদী আনোয়ার হোসেনের সাথে আমার কোনো ভাড়া চুক্তি হয়নি। তার দাবীকৃত ভাড়া চুক্তিপত্রে আমি স্বাক্ষী হিসেবে অন্যের ভাড়া চুক্তিপত্রে টিপসহি দিয়েছিলাম।
এ ব্যাপারে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আসাদুজ্জামান আসাদ গত মঙ্গলবার সংবাদদাতাকে জানান, দোকান ঘর দখলের অভিযোগ পাইনি তবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের একটি অভিযোগ পেয়েছি অভিযোগ টি তদন্তধীন আছে উক্ত বিষয়ে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।