শুক্রবার ● ৩১ মে ২০২৪
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » বেনজিরের মত ব্যক্তিদের লাগামহীন ক্ষমতার কারণে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে : সাইফুল হক
বেনজিরের মত ব্যক্তিদের লাগামহীন ক্ষমতার কারণে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে : সাইফুল হক
আজ সকালে বিপ্লবী রিকশা শ্রমিক সংহতির দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্ট সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, কিছুলোকের বেপরোয়া দূর্নীতি আর অকল্পনীয় সম্পদের কারণেই আজ অধিকাংশ লোক কষ্টে আছে। রাষ্ট্র ক্ষমতাকে ব্যবহার করে বেনজিরের মত ব্যক্তিদের লাগামহীন দূর্নীতি ও জবাবদিহিহীন ক্ষমতার কারণেই দেশ আজ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে। দেশে সব জিনিসের দাম বাড়লেও কেবল কমেছে শ্রমিকের দাম, কমেছে তাদের শ্রমশক্তির দাম।ভোটের ব্যবস্থা না থাকায় রাজনৈতিক দলের কাছে রিকশা শ্রমিকসহ সশ্রমজীবী মানুষের গুরুত্ব কমেছে। ভোট ব্যবস্থা নষ্ট হওয়ায় শ্রমিকেরা আরও ক্ষমতাহীন, আরও মর্যাদাহীন, আরও গরীব হয়েছে।তিনি বলেন, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল রিকশা শ্রমিকদের ব্যবহার করে, কিন্তু তাদের অধিকারের কথা বলেনা।
তিনি বলেন, এই দূর্মূল্যের বাজারে সবচেয়ে কষ্টে আছে গরমে পোড়া মেহনতি রিকশা শ্রমিকসহ শ্রমজীবী মানুষ । শ্রমিক পরিবারের জীবনে দূর্যোগ নেমে এসেছে। রিকশা শ্রমিকদের রেশন নেই, নেই বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার অধিকার। এই সমাজে তাদের মানুষের মর্যাদা নেই।রাস্তায় বের হলে তাদেরকে বহুধরনের হয়রানির শিকার হতে হয়।
তিনি বলেন, জীবনযাত্রার অস্বাভাবিক ব্যয় বৃদ্ধির কারণে দেশের শ্রমজীবী - মেহনতী মানুষকে আজ চরম দুঃসহ জীবন যাপন করতে হচ্ছে। শ্রমিকদের প্রকৃত আয় কমে গেছে।শ্রমিক পরিবারসমূহের খাদ্যগ্রহণ কমে গেছে।
তিনি বলেন, দেশের কেবল ১০ টি লুটেরা গোষ্ঠীর অবৈধ অর্থ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করলে ২০ লক্ষ শ্রমিক পরিবারের উন্নয়ন করা সম্ভব।
তিনি এই দুঃসহ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসে নিজেদের অধিকার ও মুক্তি অর্জনে শ্রমজীবী - মেহনতিদের বৃহত্তর ঐক্য ও আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান। পাশাপাশি তিনি অনতিবিলম্বে রিকশা শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা,পরিবেশবান্ধব রিকশা প্রচলন, শ্রমিকদের বাসস্থান,শিক্ষা, চিকিৎসা সুবিধাসহ তাদের ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
বিপ্লবী রিকশা শ্রমিক সংহতি সভাপতি জামাল সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের এই সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সভাপতি নারী নেত্রী বহ্নিশিখা জামালী, বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সংহতি সংস্কৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক এপোলো জামালী, বিপ্লবী পাদুকা শ্রমিক সংহতির সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, বিপ্লবী রিকশা শ্রমিক সংহতির আহসান বেলাল, বিপ্লবী গারমেন্টস শ্রমিক সংহতি সালাউদ্দিন আহমেদ, বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির নেতা নুরুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান রুবেল প্রমুখ।
উদ্বোধনী সমাবেশের পর রিকশা শ্রমিকদের একটি বর্ণাঢ্য র্যালী তোপখানা রোড়, পুরানা পল্টন বিজয়নগর প্রদক্ষিণ করে সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
বিকালে সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে সংগঠনের কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়েছে।