সোমবার ● ৭ অক্টোবর ২০২৪
প্রথম পাতা » এগিয়ে যাও বাংলাদেশ » রাঙামাটিতে কঠিন চীবর দান-২০২৪ পালনের লক্ষ্যে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
রাঙামাটিতে কঠিন চীবর দান-২০২৪ পালনের লক্ষ্যে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
স্টাফ রিপোর্টার :: পার্বত্য সম্মিলিত ভিক্ষু সংঘের কঠিন চীবর দানানুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে পুণ্যার্থীদের পূর্ণ সঞ্চয় করার সুযোগ দিতে ভিক্ষু সংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান।
তিনি বলেন, সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ও পূণার্থীদের অনুরোধে তিন জেলায় কঠিন চীবর উৎসব হোক, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী স্বর্বাত্মক নিরাপত্তা দেয়া হবে।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শুভ কঠিন চীবর দান উপলক্ষে রাঙামাটির বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের প্রতিনিধি ও প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কথা বলেন।
আজ সোমবার ৭ অক্টোবর দুপুর একটায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবাইদা আকতার, জেলা পুলিশ সুপার ড. ফরহাদ হোসেন, জেলা এএসইউ কমান্ডার লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ আল মামুন সুমন, রাঙামাটি রিজিয়নের ব্রিগেড বিএম মেজর তাজদির, জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙামাটি জেলা কমিটির সম্পাদক মন্ডিলীর সদস্য নির্মল বড়ুয়া মিলন, রাঙামাটি প্রেসক্লাব সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হারুন মাতব্বর, জেলা জামায়াতের আমির মো. আব্দুল আলিম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক জুঁই চাকমা, রাঙামাটি রাজবন বিহারের সহ সভাপতি নিরুপা দেওয়ান, সাধারন সম্পাদক অমিয় খীসা, মৈত্রী বিহারের সাধারণ সম্পাদক অরুন কান্তি দেওয়ান, রাঙামাটি বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহারের আহবায়ক ত্রিদিব বড়ুয়া টিপু ও সদস্য সচিব ধীমান বড়ুয়াসহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান কঠিন চীবর দানোৎসব রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় যাতে নিরাপদে এবং সুশৃঙ্খলভাবে করা যায় সেজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পাহাড়ে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানানো হয়।
সভায় বক্তারা ভিক্ষু সংঘের সাংবাদিক সম্মেলনে নিরাপত্তা আশংকায় কঠিন চীবর দান না করা সিদ্ধান্ত নিলেও প্রশাসনে পক্ষ থেকে কঠিন চীবর দান পালনের আহবান জানানো হয় এবং কঠিন চীর দান যাতে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন করতে পারে তার জন্য প্রশাসন পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোড়দার করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করা হয়।