সোমবার ● ৪ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » এগিয়ে যাও বাংলাদেশ » রাজনীতিক দলের অফিসে আগুন দেয়া কোন অবস্থায় শোভনীয় কাজ নয় : নির্মল বড়ুয়া মিলন
রাজনীতিক দলের অফিসে আগুন দেয়া কোন অবস্থায় শোভনীয় কাজ নয় : নির্মল বড়ুয়া মিলন
স্টাফ রিপোর্টার :: আজ ৪ নভেম্বর-২০২৪ সোমবার সকাল ১০টায় মারী স্টেডিয়াম সংলগ্ন রাঙামাটি বিসিক এর সামনে “অন্তবর্তীকালিন সরকারে সফলতার ৩ মাস” বিষয়ে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙামাটি পার্বত্য জেলা কমিটির পক্ষ থেকে মানববন্ধন এর আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙামাটি পার্বত্য জেলা কমিটির পক্ষ থেকে আয়োজিত মানববন্ধন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা কমিটির সভাপতি মো. আবুল হাশেম।
মানববন্ধনে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা নির্মল বড়ুয়া মিলন।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা-উপজেলা নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশ ভূমিহীন সংহতির নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে প্রধান বক্তা নির্মল বড়ুয়া মিলন বলেন, অন্তবর্তীকালিন সরকার হচ্ছে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার সরকার, অন্তবর্তীকালিন সরকারে সফলতার ৩ মাস, এ সরকারে সফলতার সাথে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার সফলতা জড়িয়ে আছে। তিনি অন্তবর্তীকালিন সরকারে ৩মাস পূর্ণ করায় অভিনন্দন জানান এছাড়াও তিনি গত বুধবার ৩০ অক্টোবর কাঠমুন্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে নেপালকে হারিয়ে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানান।
নির্মল বড়ুয়া মিলন বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যে বৃদ্ধি বন্ধ করতে হবে, স্বৈরাচারের দোসররা এখনো সিন্ডিকেট করে বাজারে প্রতিটি পণ্যর মূল্যে বৃদ্ধি করে রেখেছে, প্রশাসনকে দ্রুত সময়ের ভিতর নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যে দাম যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার আহবান জানান। তিনি বলেন, দেশের সাধারন জনগণের ওপর “মরার ওপর খারার ঘা’ একদিকে দ্রব্য মূল্যে বৃদ্ধি, আরেক দিকে ২৪ ঘন্টার ভিতর ১৮ ঘন্টা বিদ্যুতের লোডশেডিং। আমরা ধরনা করছি ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অন্তবর্তীকালিন সরকারকে বেকাদায় ফেলতে পতিত হাসিনা সরকারের ঘাপটি মেরে থাকা লোকজন কৌশলে রাঙামাটিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় প্রতিদিন ২৪ ঘন্টার ভিতর ১৮ ঘন্টা বিদ্যুতের লোডশেডিং চালু রেখে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। বিদ্যুতের লোডশেডিং দ্রুত সময়ে ভিতর সমাধান করা দাবি জানান তিনি।
ছাত্র-শ্রমিক-জনতার স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে যে বা যাঁরা ছাত্র-শ্রমিক-জনতাকে হত্য করেছে তাদের হত্যাকারীদের এবং গণহত্যার নিদের্শদাতাদের বিচার এ বাংলা মাটিতে কম সময়ের ভিতর নিস্পত্তি করার জন্য এবং সেই সাথে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাটকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য অন্তবর্তীকালিন সরকারের আইন ও বিচার বিভাগীয় উপদেষ্টার প্রতি অনুরোধ জানান।
মানববন্ধনের প্রধান বক্তা নির্মল বড়ুয়া মিলন বলেন, কোন রাজনীতিক দলের অফিসে ভাংচুর করা, রাজনীতিক দলের অফিসে আগুন দেয়া কোন অবস্থায় শোভনীয় কাজ নয়। এসব রাজনীতির শিষ্টাচার বহিভূর্ত কাজ। কোন রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে আমরা নয়, কোন রাজনীতিক দলের নেতা-কর্মি অপরাধী হলে সু-ষ্পষ্ট মামলা দিয়ে তাদের দেশের প্রচলিত আইনে বিচার করা এবং আদালতের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা সঠিক পন্থা অবলম্বেনের জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, ছাত্র-শ্রমিক-জনতা এবং রাজনীতিক দল সমুহের প্রতি আহবান জানান।
এসময় নির্মল বড়ুয়া মিলন বলেন, ১৯৮৬ সাল থেকে তিন পার্বত্য জেলা সমুহে ভুমি বন্দোবস্তী বন্ধ রাখা হয়েছে, এতে পাহাড়ে ভূমিহীনদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তিন পার্বত্য জেলায় ভুমি জরিপ ও ভুমি বন্দোবস্তী চালু করার জন্য তিনি অন্তবর্তীকালিন সরকারের নিকট দাবি করেন।
নির্মল বড়ুয়া মিলন আরো বলেন, দেশ স্বাধীনের পর থেকে ৫৩ বছর ধরে পাহাড়ে বসবাসকারী মানুষেরা বৈষম্যের শিকার,পাহাড় থেকে সকল সকল ধরনের বৈষম্য নিরসন করার লক্ষ্যে “পার্বত্য চট্টগ্রাম বৈষম্য নিরসন কমিশন” গঠনের দাবি জানান।
মানববন্ধন অনূষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক জুঁই চাকমা।
মানববন্ধন শেষে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল এলাকায় বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির অস্থায়ী কার্যালয়ে দেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা-উপজেলা নেতা-কর্মী এবং বাংলাদেশ ভূমিহীন সংহতির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।