রবিবার ● ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ » নারায়ণগঞ্জে ফেন্সি জনি ও হোন্ডা রাব্বীর অপকর্ম ঠেকাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জে ফেন্সি জনি ও হোন্ডা রাব্বীর অপকর্ম ঠেকাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :: নারায়ণগঞ্জ শহরতলীর ফতুল্লা থানাধীন পশ্চিম মাসদাইর এলাকার চিহ্নিত মাদক সম্রাট তানভীর ইকবাল জনি ওরফে টোকাই জনি ও ফজলে রাব্বী ওরফে হোন্ডা রাব্বী বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রানালয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে এলাকাবাসী।
উল্লেখিত মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি চেয়ে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবের বরাবরেওই অভিযোগটি দাখিল করা হয়। অভিযোগে এলাকাবাসীর পক্ষে মোজাম্মেল হক মামুন,আবুল কালাম আজাদ, কাসিফ সানোয়ার ও সোহেল মাহমুদ অভিযোগকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ ৪ ও ৫ আসনের সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ পুলিশের মহা পরিদর্শক ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে কর্মকর্তার কাছেও অভিযোগের অনুলিপি প্রদান করা হয়। প্রেরিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়,পশ্চিম মাসদাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার আব্দুল হক সুমনের ছেলে টোকাই জনি ওরফে ফেন্সি জনি ও তার অন্যতম সহযোগী রাব্বী ওরফে হোন্ডা রাব্বী মূলতঃ ঢাকা মেট্রো ল-৩৭৯৭৪ নম্বরের একটি বাইকযোগে নিজেদেরকে বাইক রাইডার নামক একটি সংগঠনের নেতা দাবি করে বিভিন্ন স্পট ঘুরে বেড়ায় এবং প্রতিনিয়তই তারা নানা প্রকার মাদকদ্রব্য নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পাচার করে থাকে। তারা এই গ্রুপের গ্যাং লিডার। তাদের অসংখ্য কর্মী রয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশই তরুনীও যুবতী বয়সের মেয়ে। তাদেরকে দিয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন জনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্যাকমেইলও করে থাকে। বিভিন্ন সময়ে এরা নিজেরাও নিরীহ মেয়েদেরকে ট্র্যাপে ফেলে সর্বশান্ত করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়। এসব মেয়েদের মধ্যে ফারজানা দোলা নামে এক মেয়েকে বিয়ের প্রলোভণে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে টোকাই জনি বর্তমানে সেই মেয়েকে এড়িয়ে চলে। মাঝে মধ্যে তারা আবার ব্রাড ডোনার গ্রুপেরও নাম ব্যবহার করে এসব অপকর্ম করে বেড়ায় যাতে কেউ বুঝতে না পারে। প্রকৃতপক্ষে এরা ভয়ংকর সন্ত্রাসী। এদের বিশাল একটি চক্র রয়েছে। যারা কেবল শহর আর শহরতলীর আশ পাশ জুড়ে নানা অপকর্ম করে বেড়ায়।
এদের বাহিনীদের অধিকাংশ গ্রুপই পশ্চিম মাসদাইর,মাসদাইর কবরস্থান,মাসদাইর বেকারীর মোড়, বাড়ৈরভোগ এলাকায় চুরি ছিনতাইসহ সকল প্রকার অপকর্ম করে থাকে।
এদেরকে এই মুহুর্তে দমন করা না গেলে আগামী কিছুদিনের মধ্যে এসব এলাকাগুলো অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়ে উঠবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তদন্তপূর্বক এদের বিরুদ্ধে আশু কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্তা ব্যাক্তিদের হস্তক্ষেপ অত্যাবশ্যক বলে সচেতন মহল মনে
করছে।