শিরোনাম:
●   যুব সমাজের জলোৎসব অনুষ্ঠান প্রত্যাখানের মধ্যদিয়ে রাঙামাটিতে মারমা সম্প্রদায়ের জলকেলি উৎসব ●   কাপ্তাই ৪১বিজিবি’র ২৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ●   ইউপিডিএফ এর বিরুদ্ধে রবি আজিয়াটা কোম্পনির ২ টেকনিশিয়ানকে অপহরণ অভিযোগ ●   ঝটিকা মিছিল করে পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তির রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ নেই ●   পার্বতীপুরে আওয়ামী লীগের চার নেতা সহ ১৩ জন আটক ●   কাউখালীতে মারমা তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা ●   বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেনের অভাবে শিশু মৃত্যু ●   অন্তর্বতীকালিন সরকারের নির্দিষ্ট কোন রাজনৈতিক এজেন্ডা থাকার কথা নয় : জুঁই চাকমা ●   অবিলম্বে গাজায় ইসরায়েলী গণহত্যা বন্ধ করতে হবে : গণতন্ত্র মঞ্চ ●   পরীক্ষায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ঈশ্বরগঞ্জে কেন্দ্র সচিবসহ ৪ জনকে বরখাস্ত ●   ফটিকছড়িতে হালদা নদীতে পরে যুবকের মৃত্যু ●   কাল ১৮এপ্রিল রাঙামাটিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সংবাদ সম্মেলন ●   শিক্ষা উপবৃত্তি রেজিস্ট্রেশনের সময় বাড়ালো রাঙামাটি জেলা পরিষদ ●   অস্ত্রের মুখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীসহ ড্রাইভারকে অপহরণের ঘটনায় পিসিপির নিন্দা ●   কাপ্তাইয়ে সুইডেন শিক্ষার্থীদের ব্লকেড কর্মসূচি ●   সমাজের মাদকের আগ্রাসন ভয়াবহতা রূপ পেয়েছে : কাপ্তাই ইউএনও ●   রাজস্থলীতে মারমা সম্প্রদায়ের জলকেলি উৎসব পালিত ●   ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ঐতিহাসিক মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে স্মৃতিচারণ ●   মধ্যপাড়া কঠিনশীলা খনিতে দূর্ঘটনায় শ্রমিকের মৃত্যু ●   রাউজানে ২ মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

Daily Sonar Bangla
বৃহস্পতিবার ● ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » এগিয়ে যাও বাংলাদেশ » পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেওয়া হয়েছে লালন শাহের মাজারের মূলগেট
প্রথম পাতা » এগিয়ে যাও বাংলাদেশ » পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেওয়া হয়েছে লালন শাহের মাজারের মূলগেট
১২১৩ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেওয়া হয়েছে লালন শাহের মাজারের মূলগেট

ছবি : সংবাদ সংক্রান্ত শামসুল আলম স্বপন , কুষ্টিয়া :: কুষ্টিয়ায় ছেঁউরিয়ায় লালনের সৃষ্টি সবাইকে টানে। যেমনি টেনেছিল রবীন্দ্রনাথকে। রবীন্দ্রনাথের অনেক গানেই বাউল সুর নেওয়া হয়েছে। শুধু রবীন্দ্রনাথই নন, আধুনিক কবি-সাহিত্যিকদের অনেককেই মোহিত করেছিল লালন সঙ্গীত।
মহামারী করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের মাজারের মূল গেট। সেটার অবসান ঘটে সাড়ে ৫ মাস পর কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের দিকনির্দেশনায় বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের মাজার এর মূল গেট খুলে দেয়া হয়েছে। লালন একাডেমির এ্যাডহক কমিটির সদস্য সেলিম হক লালনের মূল গেটের তালা খুলে দিয়েছেন। এসময় লালন একাডেমির লালন ভক্ত অনুসারীরা উপস্থিত ছিলেন।
কুষ্টিয়ায় লালনের মাজার বিনোদন স্পট হাওয়াই এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বেড়ানোর উদ্দেশ্যে আসেন। মাজারের পথটা অনেক সুন্দর। পথের দুই পাশে বাদ্যযন্ত্রের স্থায়ী দোকান। দোকানগুলোতে সাজানো আছে নানা ধরনের বাদ্য যন্ত্র। বেশির ভাগ দোকানেই একতারা, দোতারা, বাঁশি, লালনের স্ট্যাচু, শো-পিস আর সব নাম না জানা বাদ্যযন্ত্র। সবই দেশিও ঐতিহ্যাবাহী যন্ত্র।
আছে কিছু খাবারের দোকানও। এরপর আছে আরেকটি গেট। এটি মাজারের মূল গেট। মূল গেটের ভেতরে ঢুকে অল্প একটু এগুলেই মূল মাজার ভবন। এর ভেতর লালন সমাধী।
লালন সমাধীর পাশে তার পালক মাতার কবর। বাইরে রয়েছে লালন সাইর পালক পিতা মওলানা মলম শাহ ও অন্য শিষ্যদের সমাধী। মাজারের পর লালন কমপ্লেক্সের ভবন। এখানে রয়েছে পাঠাগার, রিসোর্স সেন্টার আর অডিটোরিয়াম। বামদিকে নীচতলায় লালন যাদুঘর। ৫ টাকার টিকিট নিয়ে যাদুঘরে ঢোকা যায়। লালনের ব্যবহৃত অনেক কিছু রয়েছে সেখানে। রয়েছে তার একতারাও। অডিটোরিয়ামের নিচে হারমোনিয়াম, তবলা, দোতারা নিয়ে দলে দলে সাধুরা গান গাইছেন। দেশ-বিদেশ থেকে আগত হাজারো ভক্তের আগমনে মুখরিত হয়ে থাকে লালন আখড়া।
আধ্যাত্মিক সাধক লালন শাহ কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীর উপজেলার ছেঁউড়িয়ায় আশ্রয় লাভ করেন। ১৮৯০ সালের ১৭ অক্টোবর শুক্রবার ভোর পাঁচটার সময় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বাংলা ১২৯৭ সাল। মৃত্যুর পর তাঁর সমাধি স্থলেই আখড়া গড়ে ওঠে। ১৯৬৩ সালে সেখানে তার বর্তমান মাজারটি নির্মাণ করা হয় এবং তা উদ্বোধন করেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খান।
২০০৪ সালে সেখানেই আধুনিক মানের অডিটোরিয়ামসহ একাডেমি ভবন নির্মাণ করা হয়। ফকির লালন শাহের শিষ্য এবং দেশ বিদেশের অগনিত বাউলকুল এই আখড়াতেই বিশেষ তিথিতে সমবেত হয়ে উৎসবে মেতে উঠেন। এই মরমী লোক কবি নিরক্ষর হয়েও অসংখ্য লোক সংগীত রচনা করেছেন। বাউল দর্শন এখন কেবল দেশে নয়, বিদেশের ভক্তদের কৌতুহলের উদ্রেক করেছে।
লালন নেই, আছে তার স্মৃতি চিহ্ন। কিন্তু লালন কি আসলেই নেই? এই জগতে না থাকুক, লালন আছে সবার হৃদয়ে, সব বাঙালির মানসপটে। যিনি স্বীয় গুণেই আজ সবার স্মরণীয়। জাতপাতে তোয়াক্কা না করে সব জাতের মানুষের হৃদয়ে বিরাজ করছেন ফকির লালন শাহ।





আর্কাইভ