রবিবার ● ১৭ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » অপরাধ » ভারতে পালিয়ে যাওয়ার কালে পিতা হত্যাকারী ছেলে আটক
ভারতে পালিয়ে যাওয়ার কালে পিতা হত্যাকারী ছেলে আটক
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের মহেশপুরে পিতা হত্যাকারী ছেলে মফিজুল ইসলাম (৪০) কে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করেছে মহেশপুর থানা পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার শ্যামকুড় সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত মফিজুল ইসলাম নেপা ইউপির সেজিয়া হলদিপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের মেজ ছেলে। মহেশপুর থানার ওসি সেলিম মিয়া জানান, পিতা হত্যাকারী পলাতক আসামী মফিজুল ইসলাম পালিয়ে ভারতে চলে যাচ্ছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার শ্যামকুড় সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। উল্লেখ্যঃ জমা-জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে নিজ বাড়ীতে আব্দুল মান্নানকে ছেলে মফিজুল ইসলাম খুন করে। এ ঘটনার পর থেকেই ঘাতক ছেলে মফিজুল ইসলাম পলাতক ছিলো।
জমি বিরোধের জেরে মহেশপুর ছেলের লাঠির আঘাতে বৃদ্ধ পিতা খুন
ঝিনাইদহ :: জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ছেলের হাতে খুন হয়েছেন বৃদ্ধ পিতা। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নেপা ইউনিয়নের হলদিপাড়া গ্রামে। গ্রামের আব্দুল মান্নানকে বাটাম দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করে তার একমাত্র ছেলে মফিজুল ইসলাম। পুলিশ জানায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জমি ভাগ করা নিয়ে সন্তানের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয় আব্দুল মান্নানের। এক পর্যায়ে ছেলে মফিক উঠানে পড়ে থাকা বাটাম দিয়ে পিতার মাথায় আঘাত করে। এতে মাথা ফেটে গুরুতর আহত হন বৃদ্ধ পিতা আব্দুল মান্নান। দ্রুত মহেশপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান তিনি। আব্দুল মান্নান হলদিপাড়া গ্রামের মৃত আবদেল মন্ডলের ছেলে। মহেশপুর থানার ওসি সেলিম মিয়া জানান, পিতার কাছে চাষাবাদের জন্য জমি দাবী করেন ছেলে মফিজ। এই নিয়ে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে ছেলে বৃদ্ধ পিতার মাথায় আঘাত করেন। এতে তিনি নিহত হন। ঘাতক সন্তান এ ঘটনার পরপরই পালিয়ে গেছে। তিনি বলেন, হত্যাকারী সন্তানকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করছে পুলিশ। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মহেশপর থানায় এখনো কোন মামলা হয়নি।
মামার প্রেমে ভাগ্নি পাগল; বিয়ে না করাই ভাগ্নির আত্মহত্যার চেষ্টা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামে উর্মি খাতুন নামে এক যুবতী গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। তিনি শৈলকুপা উপজেলার বেডবাড়ী গ্রামের উজ্জ্বল হোসেনের মেয়ে। ঝিনাইদাহ সদর হাসপাতালে উর্মি খাতুনকে ভর্তি হরা হলেও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে উর্মীর সঙ্গে পায়রাডাঙ্গা গ্রামের ঠান্ডুর ছেলে শিশিরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দীর্ঘদিন তারা ঝিনাইদহ ও ঢাকায় লিভ টুগেদারও করেছে। সম্প্রতি শিশির গোপনে বিন্নি গ্রামে বিয়ে করলে উর্মি একাধিকবার তার বাড়িতে অবস্থান নেয়। বুধবার রাতে প্রেমিক শিশিরের বাড়িতেই উর্মি গলায় রশি দিয়ে ঝুলে পড়ে। দ্রুত থাকে উদ্ধার করে রাত এগারোটার দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশিরের অগ্নিপতির ভাগ্নি হচ্ছে উর্মি খাতুন। সেই সুবাদে শিশির ও উর্মি মামা-ভাগ্নি সম্পর্কের। বিষয়টি রাতেই চাউর হয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে পায়রাডাঙ্গা গ্রামের ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এদিকে এঘটনায় এলাকা জুড়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতারক লুসানের বিরুদ্ধে এবার তৃতীয়দফা মামলা
ঝিনাইদহ :: নাছরিন আক্তার নামে এক নারী হিজড়াকে বিয়ের ফাঁদে ফেলে ১৯ লাখ টাকা আত্মসাতের পর নতুন নতুন প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে শৈলকুপার যুবক লুসানুর রহমান লুসান ও তার পরিবার। মামলা থেকে রক্ষা পেতে স্ত্রী নাছরিনের সঙ্গে ঘর সংসার করার মুচলেকা দিয়ে এখন আর পাত্তা দিচ্ছে না লুসান। এদিকে স্বামীর ঘর করার আশায় নারী হিজরা নাছরিন এখন পথে পথে ঘুরছে। তাকে স্বামীর বাড়ি ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। নিরুপায় হয়ে স্বামী লুসান, শ্বশুর খাসিয়ার রহমান ও শ্বাশুড়ি দিপিকা বেগমের নামে মানিকগঞ্জ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন। মামলার রেকর্ড সুত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে নারী হিজড়া নাছরিনের সঙ্গে পরিচয় হয় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বিজুলিয়া গ্রামের খাসিয়ার রহমানের ছেলে লুসানের। লুসান তখন তেজগাঁও পলিটেকনিক্যাল কলেজের ছাত্র ছিল। নাছরিনের আদি বাড়ি খুলনা হলেও তিনি মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার নিহন্দ গ্রামে বসবাস করেন। তার পিতার নাম আব্দুল গাফফার শেখ। পরিচয় থেকে পরিণয়ের দিকে গড়ায় নাছরিন লুসানের সম্পর্ক। ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারী নোটারি পাবলিকে ৫ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্যে তাদের বিয়ে হয়। এজাহারে বাদীর ভাষ্যমতে বিয়ের আগে ও পরে স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্রের মাধ্যমে লুসান ব্যবসার কথা বলে ১৫ লাখ টাকা নেন। পরে আরো ৪ লাখসহ সর্বমোট ১৯ লাখ টাকা হাতিয়ে সটকে পড়েন। এঘটনায় স্বামী লুসানের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জের আদালতে ২০১৮ সনের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় মামলা দায়ের করেন নাছরিন, যার মামলা নং সিআর-১৩০/২০। ওই সময় টাকা ফেরৎ ও ঘর করার প্রলোভন দেখিয়ে লুসান মামলা তুলতে সক্ষম হন। মামলা তোলার পর স্ত্রী নাছরিনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন লুসান। পরে নাছরিন আবারো যৌতুকের মামলা করলে সে মামলাও সংসার করার প্রলোভন দেখিয়ে আবারো তুলতে বাধ্য করে লুসান। মামলা তুলে নেওয়ার পর নাছরিন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বিজুলিয়া গ্রামে স্বামীর বাড়িতে আসেন। সপ্তাহ খানেক ঘরসংসার করার পর নাছরিনকে ফুসলিয়ে ভারতে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন লুসান। সর্বশেষ নারী হিজড়া নাছরিন লুসান ও তার মা বাবার বিরুদ্ধে তৃতীয়দফা মামলা করেছেন মানিকগঞ্জের আদালতে, যার নং ১৫৭। নাছরিন অভিযোগ করেন, আমি যতবার যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা করেছি, ততবার আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে লুসান ও তার পরিবার। সংসার করার প্রলোভন দেখিয়ে লুসান ও প্রতারক পিতা মাতা আমার সঙ্গে বার বার বেঈমানী করেছে। আমি সুবিচার চাই। এ বিষয়ে বাদীনীর আইনজীবী এ্যড.সুকুমার চন্দ্র সরকার জানান, বিজ্ঞ আদালতের কাছে গ্রেফতারী পরোয়ানা চেয়েছি। আদালত মামলাটি পর্যবেক্ষনে রেখেছেন। আশা করা যায় বাদীনী ন্যায় বিচার পাবেন। তিনি বলেন, বিবদীগন খুবই ধুর্ত ও প্রতারক। তারা বাদীনীর কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরৎ না দিয়ে সংসার করার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বাদীনীর সঙ্গে একাধিকবার বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন। এ বিষয়ে লুসানুর রহমান লুসান জানান, তাকে এবং তার বৃদ্ধ পিতামাতাকে হয়রানী করতেই বার বার মামলা করা হচ্ছে। এই মামলা আইনগত ভাবেই আমি মোকাবেলা করবো।
কলা বোঝাই অবৈধ আলমসাধুু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢুকে পড়ল দোকানে
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুরে কলা বোঝাই অবৈধ আলমসাধু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দোকানে প্রবেশ করে জান্নাতুল (১০) নামে তৃতীয় শ্রেনীর এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার সাফদারপুর বাজারের একটি মুদি দোকানে এ দূর্ঘটনা ঘটে। সাফদারপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই অজিয়ার জানায়, দুপুরে সাফদারপুর রেল স্টেশন পাড়ার মিজানুর রহমানের শিশু কন্যা জান্নাতুল নানার সঙ্গে রেল বাজার সড়কের পাশে একটি মুদি দোকানে সেমাই কিনতে যায়। এ সময় কলা বোঝাই একটি আলমসাধু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দোকানের মধ্যে প্রবেশ করে। আলমসাধুর ধাক্কায় দোকানের একটি পিলার ভেঙ্গে যায়। এতে দোকানের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা জান্নাতুল গুরতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ইশরাত জামান জেরিন শিশু জান্নাতুলকে মৃত ঘোষণা করেন। কোটচাঁদপুর থানার ওসি মঈন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর আলমসাধু আটক করা হয়েছে। আলমসাধু চালক পলাতক রয়েছে।
মাছ চাষে চলছে রাসায়ানিক সারের ব্যবহার
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে হাওড়, বাঁওড় ও বিলসহ বিভিন্ন জলাশায়ে মাছ চাষে ব্যবহার করা হচ্ছে রাসায়ানিক সার। অতীতের চেয়ে মাছ চাষে অনিয়ন্ত্রিত রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার বর্তমানে বেড়েছে। জেলা মৎস্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য মতে, জেলার ছয় উপজেলায় ২৮টি বদ্ধ জলাশয় রয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছে চারটি, কালীগঞ্জ উপজেলায় চারটি, কোটচাঁদপুর উপজেলায় চারটি, মহেশপুর উপজেলায় আটটি, হরিনাকুন্ডু উপজেলায় সাতটি ও শৈলকুপা উপজেলায় একটি বাঁওড় রয়েছে। সেই বদ্ধ ২৮টি জলাশয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে। যার আয়তন চার হাজার ২৯০ একর। বিভিন্ন জলাশয়ে মাছ চাষে ইউরিয়া, টিএসপিসহ বিভিন্ন রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে হিলডল জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ জলাশয়ে মাছ মরে ভেসে ওঠার জন্য ব্যবহার করা হলেও মারা যাচ্ছে অন্যান্য ছোট মাছ এবং বিভিন্ন ক্ষুদ্র প্রাণীও। এছাড়া সামগ্রিকভাবে বর্ষাকালে অতিমাত্রায় কীটনাশক দেওয়ায় মাছের বংশ বিস্তারে বেশি ক্ষতি হচ্ছে। জানা গেছে, জেলা সদরে সাগান্না, করাতিপাড়া, ভদ্রখালী দোহা ও কালিতলা দোহা বাঁওড়। কালীগঞ্জ উপজেলায় সর্জাদ, মর্জাদ, সাঁকো, বারফা বাঁওড়। কোটচাঁদপুর উপজেলায় জয়দিয়া, বলুহর, কুশনা, জগদীশপুর বাঁওড়। মহেশপুর উপজেলায় কাঠগড়া, ফতেপুর, নস্তি, সস্তা, পোড়াপাড়, সলেমানপুর, বাঘাডাঙ্গা ও চাপাতলা বাঁওড়। হরিণাকুন্ডু উপজেলায় নারায়নকান্দি-কায়েতপাড়া, কাপাসাটিয়া, চাদঁপুর (বদ্ধ জলাশয়), ভূইয়াপাড়া-সনাতনপুর (বদ্ধ জলাশয়), ভেড়াখালী-ভাতুড়িয়া (বদ্ধ জলাশয়), নিত্যনন্দপুর, কেচমত ঘোড়াগাছা (জলাশয়) বাঁওড়। শৈলকুপা উপজেলায় একটি মাত্র নিত্যানন্দপুর বাওর রয়েছে। এসব জলাশয়ে মাছ চাষের জন্য রয়েছে ৫৯টি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। জেলা প্রশাসনের অফিসের এক কর্মচারী জানান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও সমবায় কর্মকর্তা যাচাই-বাচাই করে যাদের নামে সনদ দেন, তাদের জেলা প্রশাসন জলাশয়ে লিজের অনুমতি দিয়ে থাকে এবং প্রকৃত সমিতিকে লিজ দেওয়া হয়। তিনি আরো জানান, জলাশয়ের ২০ একর জমির কম হলে লিজ দেয় ইউএনও অফিস। আর ২০ একর জমির চেয়ে বেশি জমির জলাশয় লিজ দিতে পারে ডিসি অফিস। এছাড়া যাচাই-বাচাই করে প্রকৃত সমিতিকে জলাশয়গুলো লিজ দেওয়া হয়। জেলায় সরকারি হ্যাচারির সংখ্যা তিনটি ও বেসরকারি হ্যাচারির সংখ্যা একটি। মৎস্যজীবীর সংখ্যা ১১ হাজার ৯৪০ জন এবং মৎস্য চাষির সংখ্যা ১৪ হাজার ৭৪৫। জেলায় মাছের চাহিদা ৪০ হাজার ৮৪ টন। আর উৎপাদন হয় ৪৭ হাজার ২২৩ টন। মাছের উদ্বৃত্ত থাকে সাত হাজর ১৩৯ টন। মাছের খাদ্য হিসেবে ইউরিয়া সার ব্যবহার করলে ফাইবার মান নেমে যায়। সদর উপজেলার সাগান্না বাঁওড়ের সভাপতি মো. শাহাজউদ্দীন বলেন, জলাশয়ে মাছ চাষে ইউরিয়া সার পানিতে খাদ্য তৈরি করে। টিএসপি সার খাদ্যের সঙ্গে শক্তি বৃদ্ধি করে। এতে ফাইবারের মান নেমে যাওয়ার সুযোগ নেই। মানবদেহের কোনো ক্ষতি করে না। জেলা মৎস কর্মকর্তা আলফাজ উদ্দীন শেখ বলেন, আমরা ইউরিয়া ও টিএসপি সার মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করি। এটা দিয়ে ফাইটো প্লাংটন ও জুয়ো প্লাংটন তৈরি হয়। এতে ফাইবারের মান কমে না এবং মানবদেহের কোনো ক্ষতিও হয় না। বরং এগুলো মাছের প্রাকৃতিক খাবার। ঝিনাইদহের ছয়টি উপজেলার জলাশয় থেকে বছরে ৫৬৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকার মাছ উৎপাদন হয়।
ঝিনাইদহে ভিজিএফ’র চাল বিতরনে অনিয়ম
ঝিনাইদহ :: প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঈদ উপহার ভিজিএফ’র চাল বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে ঝিনাইদহে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার সকালে সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ভুক্তভোগী ইউনিয়নবাসী। এতে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার, লিফলেট নিয়ে কয়েকশত নারী পুরুষ ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করে। মধুহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে ১৩০ জন, ৪নং ওয়ার্ডে ২৪০ জন, ৬নং ওয়ার্ডে ১১৬ জন, ৭নং ওয়ার্ডে ৯৫ জন, ৯নং ওয়ার্ডে ২১০ জন ও মহিলা সংরক্ষিত ৪ ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের মোট ৯০ জন অসহায়ের কার্ড থাকলেও চাল পাইনি বলে অভিযোগ উঠেছে। যাদের কার্ড বরাদ্দ আছে তারা এই উপহার সামগ্রী না পেয়ে ক্ষোভে ফুসে উঠেছে। বক্তারা বলেন, হতদরিদ্রদের ভিজিএফ’র চালের কার্ডে নাম থাকলেও চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন নিজের পছন্দের ব্যক্তিদের মধ্যে চাল বিতরণ করেন। এমনকি সবাইকে চাল না দিয়ে তা আত্মসাৎ করেছে বলেও অভিযোগ করা হয়। এসময় সুষ্ঠু তদন্ত স্বাপেক্ষে চেয়ারম্যানের অপসারনের দাবি জানান তারা। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে বাজার গোপালপুর চৌরাস্তা মোড়ে চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
কোমল পানীয় ভেবে কীটনাশক পান
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের শিশু ইমন (৭) কোমল পানীয় ভেবে কীটনাশক পান করে এখন হাসপাতালে। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিশু ইমন হরিণাকুন্ডু শহরের হাসপাতাল মোড়ের আকাশ গার্মেন্টের মালিক ও রামচন্দ্রপুর গ্রামের সাজেদুল ইসলাম সাজুর ছেলে। পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে ঘরে কোকোকোলার বোতলে থাকা ঘাসমারা ওষুধ কোমল পানীয় ভেবে পান করে ইমন। বিষপান করে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে প্রথমে হরিণাকন্ডু ও পরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তিকরা হয়। অবস্থার উন্নতি না হলে রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভার্তি করা হয়। বর্তমানে ইমন আইসিইউ ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. উজ্জ্বল কুমার সাধু খাঁ ইমনের সার্বক্ষনিক চিকিৎসার দেখভাল করছেন।
মোটরসাইকেল ট্রাকের সংঘর্ষে পঙ্গু হাসপাতালে ইবির শিক্ষার্থী
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বোপরোয়া ট্রাকের সাথে গুরুতর আহত হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাজহারুল আবেদীন রনি। তিনি ইবির বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া বাজারের ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এতে তার এক পা ভেঙ্গে হাড় বেরিয়ে যায়। অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল ও পরে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। রণি ঢাকার সাভার এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে। প্রতক্ষদর্শীরা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে রনি ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলে ক্যাম্পাসের দিকে আসছিলেন। এ সময় মোবাইল ফোনে একটি কল আসলে রিসিভ করতে গিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে তিনি গুরুরত আহত হন। বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী বলেন, আমরা বিভাগের পক্ষ থেকে রনির সার্বিক খোঁজখবর নিচ্ছি। তার পায়ের হাড় ভেঙ্গে দুই ভাগ হয়ে গেছে।
ঝিনাইদহের ৫টি মডেল মসজিদ নির্মানে কচ্ছপ গতি
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ জেলায় নির্মানাধিন ৭টি মডেল মসজিদের মধ্যে ৫টি নির্মান কচ্ছপ গতিতে। অথচ দু বছর আগেই নির্মান কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। ফান্ড না থাকার অজুহাতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মান কাজ করছেন না। যে ভাবে মসজিদগুলোর নির্মান কাজ চলছে তাতে শেষ হতে এখনো অনেক দেরি। নির্মানাধীন মিেজদর মধ্যে রয়েছে, ঝিনাইদহ জেলা মডেল মসজিদ, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা মডেল মসজিদ, শৈলকুপা উপজেলা, কালীগঞ্জ উপজেলা ও হরিণাকুন্ডু উপজেলা মডেল মসজিদ। দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদ গুলো নির্মান করছে গনপুর্ত অধিদপ্তর। ৭টি মসজিদের মধ্যে মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলা মডেল মসজিদের নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। জেলা গনপুর্ত অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলা মডেল মসজিদ নির্মানে ব্যয় বরাদ্ধ আছে ১৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। ২০২০ সালে ৩১ ডিসেম্বর নির্মান কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। চলতি অর্থ বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত নির্মান কাজের শতকরা ২৫ ভাগ শেষ হয়েছে। কোটচাঁদপুর উপজেলা মডেল মসজিদের নির্মান ব্যয় বরাদ্ধ ছিল ১২ কোটি ৬৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। এ মসজিদের নির্মান শেষ হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মানে ব্যয় বরাদ্ধ আছে ১৩ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এপর্যন্ত কাজ হয়েছে মাত্র ১৬ ভাগ। এই মসজিদের পাইপ ক্যাপের কাজ শেষ হয়েছে। শৈলকুপা উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মানে ব্যয় বরাদ্ধ আছে ১২ কোটি ৬৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। এপর্যন্ত কাজ হয়েছে ২৮ ভাগ। দোতলার ছাদ পর্যন্ত উঠে তেমে আছে। মহেশপুর উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মানে ব্যয় বরাদ্ধ আছে ১২ কোটি ৬৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। এটির নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। হরিণাকুন্ডু উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মানে ব্যয় বরাদ্ধ আছে ১৩ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত কাজ হয়েছে মাত্র ১৭ ভাগ। সবেমাত্র পাইল ক্যাপের কাজ শেষ হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মানে ব্যয় বরাদ্ধ আছে ১২ কোটি ৬৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত কাজ হয়েছে মাত্র দুই ভাগ। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা পর্যায়ের মসজিদ গুলো হবে তিন তলা বিশিষ্ট এবং জেলা মডেল মসজিদ হবে ৪ তলা। প্রতিটি মসজিদে থাকবে ইসলামিক ট্রেনিং সেন্টার, অটিজম সেন্টার, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃখক নামাযের জায়গা, কনফারেন্স রুম ও গেষ্ট রুম। থাকবে ফুলের বাগান। প্রতিটি মসজিদ হবে একই ডিজাইনের। গনপুর্ত অধিদপ্তরের ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী জেরাল্ড ওলিভার গুডা জানান, ৫টি মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজের গতি খুব ধীর গতিতে চলছে। তিনি জানান, নির্মান কাজ দ্রুত শেষ করতে ঠিকাদারদের বারবার চিঠি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তারা কাজের গতি বাড়াচ্ছে না।