রবিবার ● ১৪ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » শাশুড়ির নির্যাতনে গৃহবধূ ইয়াছমিন রাউজান থানায়
শাশুড়ির নির্যাতনে গৃহবধূ ইয়াছমিন রাউজান থানায়
রাউজান প্রতিনিধি :: গত ১১ বছর আগে সামাজিক সামাজিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী ঊনসত্তর পাড়া গ্রামের শাহাদুল্লাহ্ কাজীর বাড়ির মৃত শামশুল আলমের মেয়ে ইয়াছমিন আকতারের সাথে বিয়ে হয় কদলপুর ইউনিয়নের সৌবাজ্জারহাট ফকির মো. তালুকদার বাড়ি মৃত আহম্মদ ইউছুপ এর পুত্র দিদারুল আলমের সাথে। বিয়ের সময় ইয়াছমিনকে তার পরিবার থেকে মেয়ের সুখের জন্য বিভিন্ন আসবাপত্রসহ উপহার দেন। বিয়ে হওয়া পর তাদের সংসার মোটামুটি ভালো ছিলো। তাদের সংসার জীবনে ২ পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
তাদের স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবন সুখের হলেও। তার শ্বাশুড়ি ও স্বামীর দুই বোন মিলে গত চার বছর ধরে ইয়াছমিনকে জ্বালা-যন্ত্রণা ও মারধরসহ নির্মম নির্যাতন শুরু হয় তার ওপর। কিছুদিন পর পর যৌতুকের দাবি করেও তার শাশুড়ি রোকেয়া বেগম তাকে মারধরসহ নির্মম নির্যাতন চালিয়ে যান। এসব যন্ত্র গৃহবধূ ইয়াছমিন সইতে না পেরে বেশকয়েক বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সর্বশেষ গত ১২ আগস্ট শুক্রবার সকালে ইয়াছমিনকে তার শাশুড়ি ও তার স্বামীর বোনেরা মিলে তাকে অহেতুক ব্যাপক মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন। এসময় তাকে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যশে তার শাশুড়ি এগিয়ে আসলে গৃহবধূ ইয়াছমিন আত্মচিৎকার শুরু করলে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে গৃহবধূ ইয়াছমিন রক্ষা পান। এরপর গৃহবধূ ইয়াছমিন এইসব যন্ত্র আর অপমান সইতে না পেরে ঘটনার দিন সকালে শশুর বাড়ি থেকে ৩ সন্তান রেখে আবারও আত্মহত্যা করতে বাহীর হন। পরে ইয়াছমিনের মা খবর পেয়ে তাকে খুঁজে বাড়ি নিয়ে আসেন।
ইয়াছমিন জানান, দিনের পর দিন আমার উপর শ্বাশুড়ি নির্যাতনের মাত্রা বেড়েই চলতে। এসব সইতে না পেরে অনেক বার আত্মহত্যার চেষ্টা করছি। আমার স্বামী সহজসরল সেই তার মায়ের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেনা। মায়ের পক্ষে হয়ে কথা বলেন। আমাকে তার মা এতো নির্যাতন করেন আমার স্বামী নিরব থাকবেন। আমাকে রাতদিন শুধু কাজের লোকের মতো কাজ করান। আমি রাউজানের স্থানীয় রাজনৈতিক নেত্ববৃন্দের কাছে এটার বিচার চাই। যাতে আমার মতো আর কোন নারী এমন নির্যাতনের শিকার না হয়। এই ঘটনায় ইয়াছমিন গতকাল ১৩ আগস্টা শনিবার দুপুরে রাউজান থানায় তার শ্বাশুড়ি বিরুদ্ধে একটি সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেন বলেন জানান।
এবিষয়ে ইয়াছমিন আকতারের স্বামী দিদারুল আলম ও শাশুড়ি রোকেয়া বেগমের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এছাড়া ইয়াছমিন আকতারের শাশুড়ি রোকেয়া বেগমের বিরুদ্ধে সাধারন ডায়েরী (জিডি) বিষয়ে রাউজান থানায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকতাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ইয়াছমিন আকতার রাউজান থানায় দায়ের করা কোন জিডি নাম্বার দিতে পারেননি। তবে ইয়াছমিন আকতার রাউজান থানায় তার শাশুড়ি রোকেয়া বেগমের বিরুদ্ধে সাধারন ডায়েরী (জিডি)’র ১টি আবেদনপত্র গণমাধ্যম কর্মীদের সরবরাহ করেছেন।