রবিবার ● ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » যুবলীগ নেতা সুইটের উপর হামলায় বিএনপি নেতাসহ আটক-২
যুবলীগ নেতা সুইটের উপর হামলায় বিএনপি নেতাসহ আটক-২
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন বিশ্বনাথ উপজেলা যুবলীগ নেতা মুহিবুর রহমান সুইট। শুক্রবার (১৬ সেপ্টম্বর) রাত ১০:১৫ মিনিটের সময় বিশ্বনাথ পৌর শহরের রামপাশা রোডস্থ আরামবাগ আবাসিক এলাকার গেইটের সামনে এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় মুহিবুর রহমান সুইটকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এঘটনায় বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কদর উদ্দিন ও তার পুত্র ছাত্রদল নেতা ইমনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
বিশ্বনাথ পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক রফিক আলী জানান, রাত ১০টার দিকে যুবলীগ নেতা মুহিবুর রহমান সুইট বিশ্বনাথ নতুন বাজাস্থ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (আপন ফাসের্মী) বন্ধ করে ছোটভাই মাহফুজুর রহমান সুয়েব-কে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাসায় ফিরছিলেন। তারা পৌর শহরের রামপাশা রোডস্থ আরামবাগ আবাসিক এলাকার গেইটের সামনে পৌছামাত্র পিছন দিক থেকে একটি হলুদ কালারে মোটরসাইকেলে ২জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী তাদেরকে ওভারটেক করে।
তখন ওই মোটরসাইকেলে আরোহী ১জনের মাথায় হেলমেট ও অপরজনের মুখে মাস্ক পড়া ছিলো। মোটরসাইকেলটি ওভারটেক করার সাথে সাথে মাস্ক পড়া লোকটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে মুহিবুর রহমান সুইটের মাথা লক্ষ্য করে কোপটি তার মুখের বাম পাশে পড়ে গুরুতর জখম হয়। এতে প্রাণে বেঁচে যান মুহিব।
পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক রফিক আলী জানান, বিশ্বনাথ উপজেলায় হলুদ কালারের মোটরসাইকেল নেই বললেই চলে। আর এই কালারের একটি মোটরসাইকেল রয়েছে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কদর উদ্দিনের পুত্র ছাত্রদল নেতা ইমনের। তাই ঘটনার পর রাত ১১টার দিকে ছাত্রদল নেতা ইমনকে মুঠোফোনে কল দেন মুহিবুর রহমান সুইটের রাজনৈতিক সহকর্মী যুবলীগ নেতা রাজু আহমদ।
এসময় ইমনের কাছে রাজু জানতে চান তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি তার কাছে ছিলো কি না। প্রতিউত্তরে ইমন জানান গাড়িটি তার বাবা কদর উদ্দিনের কাছে রয়েছে। রাজু তখন ইমনকে বলেন ‘ভাগনা তুমি তুমার বাবার কাছে জিজ্ঞেস করো আজকে তুমার গাড়িটি অন্য কোন লোক নিয়েছে কি না’। রাজু-ইমনের ফোনালাপের কিছুক্ষণ পর ইমনের ফোন থেকে রাজুকে কল করে কদর উদ্দিন।
তখন রাজুকে অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে কদর একাধিকবার বলেন, ‘মুহিবকে আমি মেরেছি। কারো ক্ষমতা আছে আমাকে কিছু করার। যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে আসো আমি রিফাতের সামনের আছি’। কিছুক্ষণ পরই রাজুসহ ছাত্রলীগ-যুবলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী রিফাতের সামনে পৌছলে তখন তাদরেকে দেখে মোটরসাইকেলে করে বিএনপি নেতা কদর উদ্দিন ও তার পুত্র ছাত্রদল নেতা ইমন সেখান থেকে চলে যেতে চাইলে তাদেরকে ধাওয়া করেন ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা।
একর্যায়ে বিশ্বনাথ পৌর শহরের পুরান বাজারস্থ জগন্নাথপুর রোডে কদর ও ইমনকে ঝাপটে ধরে মারধরেন উত্তেজিত ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা। তাৎক্ষণিকভাবে কদর ও ইমনকে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, কদর ও ইমনকে আটক করা হয়েছে। হামলার ঘটনাটি অধিক গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
বিশ্বনাথে দূর্লভপুর দাখিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাকালীন সুপার সংবর্ধিত
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দূর্লভপুর মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাকালীন সুপার মাওলানা সাইদুর রহমান অন্যত্র (বদলিজনিত) চলে যাওয়াতে বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের দূর্লভপুর গ্রামস্হ মাদরাসার কনফারেন্স হলরুমে ওই সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া।
সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্য রাখেন মাদরাসার প্রতিষ্ঠাকালীন সুপার মাওলানা সাইদুর রহমান।
রাখালগন্জ আলিয়া মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুল গনি’র সভাপতিত্বে ও মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মো. বায়েজীদ আহমদ এর পরিচালনায় অনুষ্টানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সৎপুর দারুল হাদিস কামিল (এমএ) মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মোহাম্মদ মুনির উদ্দিন, অত্র মাদরাসার বর্তমান সুপার মাওলানা ফারুক মাহদী, লালার গাও হাবিবিয়া হাফিজিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা ইমরান হুসেইন, জাগীরআলা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা শামিম আহমদ খান।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন মাদরাসার শিক্ষার্থী মো. আফজাল হোসেন এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষক মাওলানা শহিদুল আলম।
এসময় মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির অর্থ সচিব ও সাবেক মেম্বার মো. রফিক আহমদ, সদস্য মো. আব্দুল গফুর, মো. সিরাজ মিয়া, জাহাঙ্গির আলম, মো. মৌরশ আলী, সংগঠক মো. হাবিবুর রহমান মনু, মাদরাসার শিক্ষক/শিক্ষকা, অভিভাবক ও ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দ সহ প্রমুখ উপস্হিত ছিলেন।